এই নরম গরুর মাংসের টাকোস সত্যি অসাধারণ। গরুর মাংস সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজা, মশলায় ভরপুর, আর এর সুগন্ধ মন জয় করে নেয়। মিষ্টি-টক ஊறানো পেঁয়াজ মচমচে, আর মাখন সস যোগ করে আরও একটা আকর্ষণীয় স্বাদ। আপনার পছন্দের চিজের সাথে মিশিয়ে, এই নরম টাকোস যে কোনও সময়ে সহজেই বানিয়ে নেওয়া যায়, আর এটা পেট ভরা খাবার।
গরুর মাংস কুচি সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজা হয়, যা দেয় এক দারুণ, সুস্বাদু আর লোভনীয় স্বাদ। ভিনেগারে ভেজানো পেঁয়াজ আনে মিষ্টি আর টক স্বাদ, আর মশলা দেওয়া মাখন সস দেয় একটা মাখনের মতো ভাব আর বাড়তি স্বাদ। আপনার পছন্দের চিজ দিয়ে পরিবেশন করলে, এই নরম আর আকর্ষণীয় টাকোস দারুণ একটা খাবার, আর যখন খুশি বানানো যায়।
প্রস্তুতি নিতে লাগে মাত্র ৩ মিনিট, রান্না করতে ২০ মিনিট, আর পেঁয়াজ ஊறাতে ১ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে এই খাবার বানাতে আপনার সময় লাগবে ১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট।
নরম গরুর মাংসের টাকোসের জন্য যা যা লাগে, তা স্থানীয় দোকানে সহজেই পাওয়া যায়। আপনার লাগবে গরুর মাংসের কিমা, অ্যাভোকাডো তেল (বা রান্নার তেল), মরিচের গুঁড়ো, রসুনের গুঁড়ো, পেঁয়াজের গুঁড়ো, শুকনো ওরেগানো পাতা, পেপরিকা পাউডার, জিরা পাউডার, লবণ, গোলমরিচ, জল, ভিডালিয়া পেঁয়াজ (বা সাধারণ পেঁয়াজ), পাতিলেবু, কাগজি লেবু, মাখন, জিরা, চিলি পাউডার আর নরম টাকো। চিজ দিলে স্বাদ আরও বেড়ে যায়, এটা বাদ দেওয়া যায় না।
আপনি চাইলে ল্যাকটোজ-ফ্রি চিজ ব্যবহার করে বা চিজ বাদ দিয়ে এই খাবারটাকে ল্যাকটোজ-ফ্রি বানাতে পারেন। আর যদি ঝাল পছন্দ না হয়, তাহলে মরিচের গুঁড়ো কমিয়ে দিতে পারেন, বা চিলি পাউডার বাদও দিতে পারেন।
টাকোস আর বুরিটোর মধ্যে তফাৎ হল সাইজ আর বানানোর ধরনে। টাকোসে ছোট টর্টিলা রুটি ব্যবহার করা হয়, পুর ভরে মাঝখান থেকে ভাঁজ করে দেওয়া হয়, আর সাধারণত একসাথে কয়েকটা দেওয়া হয়। বুরিটোতে বড় টর্টিলা রুটি লাগে, এতে প্রায়ই ভাতও থাকে, আর এটা রোল করে সিলিন্ডারের মতো বানানো হয়, দুই দিক থেকেই মুখ বন্ধ থাকে। সাইজে বড় আর বেশি ভরা থাকার জন্য বুরিটো সাধারণত একবারে একটা করেই দেওয়া হয়।
রেড মিট এড়িয়ে যেতে চাইলে গরুর মাংসের বদলে টার্কির কিমা বা মুরগির কিমা দিতে পারেন। তবে, মুরগির মাংস গরুর মাংসের চেয়ে হালকা স্বাদের, তাই হয়তো একটু বেশি মশলা লাগবে। যারা ভেগান, তারা গরুর মাংসের বদলে বিয়ন্ড মিট বা কিমা করা টোফু ব্যবহার করতে পারেন। আর নরম টাকোর বদলে শক্ত টাকো শেলও ব্যবহার করা যেতে পারে, যদি চান।
বোতলের লেবুর রস ব্যবহার করলে খাবার খারাপ হবে না, কিন্তু স্বাদে একটু তফাৎ হবে। এই মজার টাকো রেসিপিটা কিন্তু তাজা লেবুর রসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তাই পারলে তাজা লেবুই ব্যবহার করা ভালো।
নরম গরুর মাংসের টাকোস বানাতে, আপনার রান্নাঘরের কিছু জিনিস লাগবে, যেমন কাঠের চামচ, কাটিং বোর্ড, আর দুটো বাটি।
নরম গরুর মাংসের টাকোসকে আরও মজার করতে হলে গরুর মাংস সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে, এতে ক্যারামেলের মতো একটা দারুণ স্বাদ আসবে। পেঁয়াজ আগে থেকে ভিজিয়ে রাখলে মশলা ভালোভাবে ঢুকবে, আর বাটার সস বানাবেন একদম খাবার আগে, তাহলে সস কালো হয়ে যাবে না।
পেঁয়াজ ஊறানোটা তিন দিন আগে পর্যন্ত বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। গরুর মাংসও আগের দিন বানিয়ে গরম করে নিতে পারেন খাবার আগে। বেঁচে যাওয়া গরুর মাংস আর ஊறানো পেঁয়াজ ফ্রিজে একটা মুখবন্ধ কৌটোতে তিন দিন পর্যন্ত রাখা যায়। কিন্তু বাটার সস বা বানানো টাকোস ফ্রিজে রাখা ঠিক না।