ডিম সিদ্ধ করাটা সহজ মনে হলেও, কাঙ্ক্ষিত সিদ্ধতা অর্জনের জন্য কিছু কৌশল জানা দরকার। এই নিবন্ধটি আপনাকে নরম এবং সুস্বাদু ডিম পোচ তৈরি করার পদ্ধতি জানাবে।
প্রথমে জল ফুটিয়ে নিন, তারপর ডিমগুলো আলতো করে ছেড়ে দিয়ে সময় গণনা শুরু করুন। ৬ মিনিটে নরম কুসুম, ৮ মিনিটে ডিম পোচ, এবং ১০ মিনিটে ভালোভাবে সিদ্ধ ডিম পাওয়া যায়। খোসা ছাড়ানোর সুবিধার জন্য ডিমগুলো ঠাণ্ডা জলে রাখুন।
এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আপনি যেকোনো পাত্র এবং চুলার তাপে একই রকম সিদ্ধ ডিম তৈরি করতে পারবেন।
১. প্রথমে জল ফুটিয়ে নিন।
২. ঠাণ্ডা ডিমগুলো সাবধানে ফুটন্ত জলে ছাড়ুন।
৩. আঁচ কমিয়ে দিন – যাতে ডিমগুলো ধাক্কা লেগে ফেটে না যায়, কিন্তু জল যেন হালকা ফুটতে থাকে।
৪. সময় গণনা শুরু করুন – ৬ মিনিটে নরম কুসুম, ৮ মিনিটে ডিম পোচ, ১০ মিনিটে ভালোভাবে সিদ্ধ ডিম, ১৫ মিনিটে সাদা অংশ শক্ত এবং কুসুম শুকনো হবে।
৫. ডিমগুলো একটি বড় পাত্র বা সিঙ্কে ঠাণ্ডা জলে রাখুন।
৬. ডিমের তলার দিক থেকে খোসা ছাড়ানো শুরু করুন (সহজ হবে)।
বিভিন্ন প্রকার ডিম সিদ্ধ করার সময়:
- ডিম টোস্টের জন্য – ৩ মিনিট (খোসা ছাড়ানো যাবে না)
- নরম কুসুম – ৬ মিনিট
- ডিম পোচ – ৮ মিনিট
- ভালোভাবে সিদ্ধ ডিম – ১০ মিনিট
মনে রাখবেন, ফুটন্ত জলে ডিম ছাড়ার পর সময় গণনা শুরু করতে হবে!
প্রথমে জল ফুটিয়ে নিন, তারপর ডিম দিন!
ডিমের খোসা সামান্য ফাটিয়ে তলার দিক থেকে ছাড়ান।
ডিম সিদ্ধ করার কিছু নিয়ম:
১. ডিম দেওয়ার আগে জল ফুটিয়ে নিন – ফুটন্ত জলে ডিম সিদ্ধ করা শুরু করলে সময় গণনা সহজ হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
২. ডিম দেওয়ার পর আঁচ কমিয়ে দিন – যাতে ডিমগুলো বেশি ধাক্কা না খায় এবং ফেটে না যায়, কিন্তু জল যেন হালকা ফুটতে থাকে।
৩. ঠাণ্ডা ডিম ব্যবহার করুন – ঠাণ্ডা ডিম ব্যবহার করলে কুসুম নরম হয় এবং খোসা ছাড়ানো সহজ হয়।
৪. ডিমের আকার – উপরে দেওয়া সময় “বড় আকারের” ডিমের জন্য প্রযোজ্য। ডিমের আকার ভিন্ন হলে সিদ্ধ করার সময় পরিবর্তন করতে হবে।
৫. ছোট পাত্রে বেশি ডিম সিদ্ধ করবেন না – এতে জলের তাপমাত্রা কমে যাবে এবং সিদ্ধ হওয়ার সময় প্রভাবিত হবে।
৬. পাত্রের আকার – ১৮ সেমি পাত্র ৬টি ডিমের জন্য এবং ১৬ সেমি পাত্র ৪টি ডিমের জন্য উপযুক্ত।
৭. বরফ জলের প্রয়োজন নেই – সাধারণ ঠাণ্ডা জলই ডিম ঠান্ডা করার জন্য এবং সিদ্ধ হওয়া বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট।
৮. তলার দিক থেকে খোসা ছাড়ান – সহজ হবে।
৯. জলের নিচে খোসা ছাড়ান – আরও সহজ হবে।
বিভিন্ন প্রকার ডিম সিদ্ধ এবং ব্যবহার:
১. ডিম টোস্টের জন্য (৩ মিনিট) – এই ডিমে বাইরের সাদা অংশ সামান্য সিদ্ধ হয়, কুসুম এবং ভেতরের সাদা অংশ কাঁচা থাকে, যা টোস্ট দিয়ে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
২. নরম কুসুম (৬ মিনিট) – সাদা অংশ সামান্য জমাট বাঁধে, কুসুম নরম থাকে। খোসা ছাড়ানো বেশ কঠিন।
৩. ডিম পোচ (৮ মিনিট) – সাদা অংশ নরম সিদ্ধ হয়, কুসুম সিদ্ধ হলেও নরম এবং ক্রিমি থাকে। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিম সিদ্ধ করার প্রকার। সালাদ, ডিম স্যান্ডউইচ ইত্যাদির জন্য উপযুক্ত।
৪. ভালোভাবে সিদ্ধ ডিম (১০ মিনিট) – সাদা অংশ শক্ত, কুসুম সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ। সাধারণত সালাদে ব্যবহার করা হয়।
৫. বেশি সিদ্ধ ডিম (১২ মিনিট বা তার বেশি) – কুসুম শুকনো, সাদা অংশ শক্ত, খেতে ভালো লাগে না।
ডিম সিদ্ধ করার সময় কিছু সমস্যা এবং সমাধান:
ডিম ফেটে যাওয়া এড়াতে:
১. ডিমগুলো চামচের সাহায্যে সাবধানে পাত্রে ছাড়ুন – উপর থেকে ফেলবেন না!
২. ডিম দেওয়ার সাথে সাথেই আঁচ কমিয়ে দিন যাতে জল বেশি ফুটে ডিম ধাক্কা লেগে ফেটে না যায়।
ডিমের খোসা পাতলা হওয়াও ডিম ফাটার একটি কারণ। ডিমের খোসার পুরুত্ব মুরগির জাত এবং ডিমের গুণাগুণের উপর নির্ভর করে।
তাজা ডিমের চেয়ে পুরনো ডিমের খোসা ছাড়ানো সহজ। কারণ ডিম পাড়ার পর ডিমের ভেতরের পর্দা খোসার সাথে শক্তভাবে লেগে থাকে, তাই খোসা ছাড়ানো কঠিন হয়। ডিম যত পুরনো হয়, এই পর্দা তত ভেঙে যায় = খোসা ছাড়ানো সহজ হয়।