দাঁত তোলার পরে, সঠিক খাবার খাওয়া ক্ষত নিরাময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরম খাবার খাওয়া নিরাময় অঞ্চলের জ্বালা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করবে। এখানে দাঁত তোলার পরে খাওয়ার জন্য ৫০টি নরম, পুষ্টিকর খাবারের একটি তালিকা দেওয়া হল:
- ম্যাশ করা আলু
- আপেল সস
- দই
- কটেজ চিজ
- স্মুদি
- পুডিং
- ওটমিল
- স্ক্র্যাম্বলড ডিম
- ক্রিম অফ হুইট সিরিয়াল
- পাতলা ফলের রস
- জেল-ও
- পিউরি করা স্যুপ
- হুমুস (পিউরি করা ছোলা থেকে তৈরি একটি খাবার)
- অ্যাভোকাডো
- পিনাট বাটার (মসৃণ)
- নরম চিজ
- রাইস পুডিং
- কুইনোয়া (ভালভাবে রান্না করা)
- নরম সেদ্ধ সবজি (যেমন: গাজর, কুমড়া)
- চিয়া সিড পুডিং
- ঘন স্যুপ
- মটরশুঁটি পিউরি
- কাস্টার্ড
- আইসক্রিম
- জেলাটো
- শরবত
- পোচড ডিম
- সিল্কেন টফু
- ম্যাকারনি এবং চিজ
- ম্যাশ করা মিষ্টি আলু
- মাংসের ঝোল
- আপেল সস
- কলা
- ক্যানে থাকা ফল (জুসে)
- স্মুদি বাউল
- ফুলকপি পিউরি
- ফলের শরবত
- ফলের দই পপসিকল
- সাগু পুডিং
- নরম রান্না করা মসুর ডাল
- ডিমের সালাদ
- কাঁকড়া বা চিংড়ি ক্রিমের স্যুপ
- রিসোটো
- নরম রুটি স্যুপ বা দুধে ভেজানো
- ম্যাশ করা কুমড়া
- পালং শাক পিউরি
- নরম সেদ্ধ পাস্তা
- ভাপানো মাছ
- পোলেন্টা (ভূট্টা সিরিয়াল)
- মিল্কশেক
দাঁত তোলার পরে উপযুক্ত কিছু রান্নার কৌশল হল: পিউরি করা, ভাপানো, সেদ্ধ করা, ম্যাশ করা, স্ট্যু করা, ধীরে ধীরে রান্না করা এবং ঝোল বা দুধে ভিজিয়ে রাখা।
খাবার ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দিনে অনেকবার খাওয়া উচিত, খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত এবং সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করা উচিত। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন তবে খাওয়ার সময় বেশি জল পান করা এড়িয়ে চলুন।
খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত করুন রান্নার পাত্র পরিষ্কার, খাবার তৈরির আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন, উদ্বৃত্ত খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করুন এবং খাবার ভালোভাবে রান্না করুন।
দাঁত তোলার পরে, ডেন্টিস্টের নির্দেশাবলী কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, ফোলা কমাতে বরফ লাগাতে হবে, আলতোভাবে মুখের স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে, নরম খাবার খেতে হবে, প্রচুর জল পান করতে হবে এবং নির্ধারিত ওষুধ খেতে হবে। ক্ষতস্থানে স্পর্শ করা, জোর করে কুলি করা, কঠোর ব্যায়াম করা, শক্ত খাবার, গরম খাবার খাওয়া, ধূমপান এবং মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।