ডিম সিদ্ধ করা, বিশেষ করে নরম করে সিদ্ধ করা, একটি সময় সংবেদনশীল কাজ। এই নিবন্ধটি আপনাকে নিখুঁত নরম সিদ্ধ ডিম তৈরি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবে, যেখানে কুসুম নরম এবং ক্রিমি থাকবে এবং সাদা অংশ ভালোভাবে সেদ্ধ হবে।
-
প্রথমে জল ফুটিয়ে নিন: একটি পাত্রে জল নিন এবং ডিম দেওয়ার আগে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন।
-
ডিমগুলো আলতো করে পাত্রে দিন: যখন জল ফুটতে শুরু করবে, তখন একটি চামচের সাহায্যে সাবধানে ডিমগুলো ফুটন্ত জলের পাত্রে দিন। ডিম যেন জোরে পড়ে ফেটে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
-
আঁচ কমিয়ে মাঝারি আঁচে রাখুন: ডিম দেওয়ার পর আঁচ কমিয়ে দিন, যাতে জল মাঝারি আঁচে ফুটতে থাকে, ডিম যেন ফেটে না যায়।
-
সময় গণনা শুরু করুন:
- নরম সিদ্ধ ডিম: ৮ মিনিট সিদ্ধ করুন।
- আরও নরম কুসুমের জন্য: ৬ মিনিট সিদ্ধ করুন।
- ভালোভাবে সিদ্ধ ডিম: ১০ মিনিট সিদ্ধ করুন।
-
ডিম ঠান্ডা জলে রাখুন: সিদ্ধ করার পর ডিমগুলো তুলে সরাসরি ঠান্ডা জলের পাত্রে রাখুন। এটি রান্নার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে এবং খোসা ছাড়ানো সহজ করতে সাহায্য করবে।
-
জলের নিচে ডিমের খোসা ছাড়ান: ডিম ঠান্ডা জলের নিচে রেখে খোসা ছাড়ান, ডিমের তলার দিক থেকে শুরু করলে খোসা সহজে উঠে আসবে।
সর্বদা ফ্রিজ থেকে সরাসরি ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করুন, এতে কুসুম নরম এবং ক্রিমি হবে। ৮ মিনিটের সময়টি বড় আকারের ডিমের জন্য প্রযোজ্য। ডিমের আকারের উপর নির্ভর করে সিদ্ধ করার সময় কমাতে বা বাড়াতে হতে পারে।
পাত্রের আকারের উপরও ডিম সিদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া নির্ভর করে। খুব ছোট পাত্র ব্যবহার করলে জলের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে, ফলে ডিম সিদ্ধ হতে বেশি সময় লাগবে। ডিমের সংখ্যার সাথে সঙ্গতি রেখে পাত্র ব্যবহার করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ৬টি ডিমের জন্য ১৮ সেমি ব্যাসের পাত্র উপযুক্ত।
তাজা ডিমের চেয়ে কয়েকদিন আগের ডিমের খোসা ছাড়ানো সহজ। তাই, যদি সহজে খোসা ছাড়াতে চান, তবে ফ্রিজে প্রায় এক সপ্তাহ রাখা ডিম ব্যবহার করুন।
সঠিকভাবে নরম সিদ্ধ ডিম তৈরি করলে কুসুম নরম, ক্রিমি এবং সুস্বাদু হবে, এবং সাদা অংশ ভালোভাবে সেদ্ধ হবে কিন্তু শুকনো হবে না। এটি সকালের নাস্তা, সালাদের সাথে অথবা হালকা খাবার হিসেবে খুবই উপযোগী।
ডিম সিদ্ধ করার সময় একটি সাধারণ সমস্যা হল ডিম ফেটে যাওয়া। এই সমস্যা এড়াতে, চামচের সাহায্যে আলতো করে ডিম পাত্রে রাখুন, ডিম দেওয়ার পর আঁচ কমিয়ে দিন এবং ঠান্ডা ডিম ব্যবহার করুন।